মাঝ সমুদ্রে ৫ ঘণ্টা আটকে থাকা সেই জাহাজে ছিলেন বুবলী-মাহফুজ

By | January 3, 2023

কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড  কোম্পানির তিনটি জাহাজ নিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ করানো হয়। সম্প্রত ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে পর্যটকদের চরম হয়রানির অভিযোগ উঠেছে । ওই কোম্পানির

সেন্ট মার্টিনের সাথে এসব ছাড়া আর কোনো জাহাজ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কম্পানিটি পর্যটকদের নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। সবশেষ জাহাজটি মাঝসমুদ্রে আটকে ছিল দীর্ঘ সময়।

এ জাহাজেই আটকে ছিলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা মাহফুজ। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক থেকে জানা যায়, সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপের বিভিন্ন লোকেশনে কয়েক দিন ধরে ‘প্রহেলিকা’ ছবির গানের দৃশ্য ধারণ হচ্ছে।  শুটিং শেষে মঙ্গলবার বিকেলে সমুদ্রপথে কক্সবাজার ফিরছিল ইউনিট। বেলা আড়াইটায় সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা সবাই রাত ১০টায় কক্সবাজার ফেরার কথা থাকলেও যখন ফেরেন, তখন সকাল ৬টা।

চয়নিকা চৌধুরী তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, “মধ্যসাগরে আমরা আটকে আছি টানা পাঁচ ঘণ্টা। রাত ৯টা থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ‘প্রহেলিকা’ টিম কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের এমভি বে-ওয়ানে আছি মাঝসমুদ্রে। দূর থেকে দেখেছি, ভাটার কারণে আমাদের শিফট করে নিয়ে যাওয়ার জাহাজটার কী অবস্থা। কী যে যাচ্ছে সময়টা। সবাই ওপরওয়ালাকে ডাকছে। ” 

এ সময় জাহাজটির শত শত নারী ও শিশু যাত্রীদের পুরো রাত উপোস কাটাতে হয়েছে। এক হাজার ৩০০ যাত্রীকে পুরো রাত-দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে ওই জাহাজটিতেই। কম্পানিটির এমন অনিয়মজনিত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জাহাজ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত স্থানীয় প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠান।   

জাহাজ কম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি বাহাদুর ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি কম্পানির পক্ষে ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছি, আর কোনো সময় আমাদের জাহাজে ট্রানজিট যাত্রী ওঠানামা করা হবে না। এমনকি নির্ধারিত নিয়মমাফিক জাহাজ চালানোরও অঙ্গীকারনামা দিয়েছি। ’ 

টেকনাফের সাথে প্রতিবছরের মতো ৮-১০টি পর্যটক জাহাজ বন্ধ থাকার সুযোগে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড কম্পানি তিনটি জাহাজ নামিয়ে পর্যটকদের দ্বীপে আনা-নেওয়ার কাজে নেমে পড়ে। কয়েক মাস ধরে কক্সবাজারের বাকখালী নদীর বিআইডাব্লিউটি নৌ ঘাট থেকে কর্ণফুলী নামের জাহাজটি চলাচল শুরু করে দ্বীপের সাথে।   

এমভি বারো আউলিয়া নামের অপর একটি জাহাজ নিয়ে কক্সবাজারের নৌ ঘাট থেকে মাঝসাগরে যাত্রীদের সেন্ট মার্টিন যাতায়াতকারী জাহাজে যাত্রীদের ট্রানজিট কাজে নিয়োজিত থাকে।

অন্যদিকে একই কম্পানির মালিকানাধীন বিলাসবহুল হিসেবে পরিচিত বে-ওয়ান নামের আরেকটি জাহাজ চলাচল করে চট্টগ্রাম থেকে দ্বীপে।  

এসব বিষয় নিয়ে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ডের কক্সবাজারে কর্মরত প্রতিনিধি বাহাদুর ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাহাজগুলোর যাতায়াতে অনিয়ম হচ্ছে এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। বাস্তবে জোয়ার ভাটাসহ যাত্রীদের দুইবার করে ওঠানামার কারণেই যাতায়াতে বিলম্ব হচ্ছে। মঙ্গলবারের ঘটনাটি আকস্মিক সাগর উত্তাল হওয়ার কারণেই বিলম্ব এবং যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *