ঈদে দর্শকের ভালোবাসায় মুগ্ধ ফারহান

By | May 21, 2022

গেল কয়েক বছরে নিজের অনবদ্য অভিনয় দিয়ে নাট্যাঙ্গনে এসেছেন আলোচনায় এসেছেন যিনি তিনি মুশফিক আর ফারহান। বছরজুড়েই গল্প নির্ভর নাটকে তাঁর দেখা মিলে। এবার ঈদেও ফারহান অভিনীত সাতটি নাটক প্রচার হয়েছে টেলিভিশন এবং ইউটিউবে। যা প্রশংসা পাচ্ছে অন্তর্জালে আর এগিয়ে আছে ইউটিউব ভিউয়ে।

এবারের ঈদের কাজ প্রসঙ্গে ফারহানের ভাষ্য, ‘এবারের নাটকগুলোতে গল্প ও আমার চরিত্র ভিন্নধর্মী ছিল। লোকেশনে ভেরিয়েশন ছিল। প্রতিটা কাজ সময় নিয়ে খুব যত্নসহকারে করার চেষ্টা করেছি। যে সাতটা নাটক করেছি কোনোটাই আরামদায়ক কাজ ছিল না। প্রত্যেকটা কাজই কষ্ট করে করতে হয়েছে। চরিত্র নিয়ে গবেষণা করেছি। বিহাইন দ্য স্টোরি ছিল খুবই প্যাথেটিক।’

এই যেমন মুশফিক আর ফারহানের ‘হাঙর’ নাটকের শুট হয়েছে কক্সবাজারে। এই নাটক প্রসঙ্গে অভিনেতার ভাষ্য, ‘গরমের দিনে শুটকি পল্লিতে শুট করাটা খুবই টাফ ছিল। একটা দৃশ্য তো খুবই চ্যালেন্জিং ছিল আমার জন্য। সাগরের একটা জায়গায় গিয়ে লাফ দিতে হয়। সমুদ্রের ভেতর একা লাফ দেয়া তো ভয়ংকর বিষয়।’

ফারহান আরও যুক্ত করেছেন, “ঈদের ‘ভুলনা আমায়’র শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। একবারে ধান খেতের ভেতর একটা শট ছিল। মারা যাওয়ার পর যেখানে আমাকে রেখে যায়। ধান খেতের পাশে কাঁদাতে শুয়ে থাকতে হয়েছে। ‘নসিব’ এ পুতুলের ড্রেস পরে ডান্স করতে হয়। ওই সময় প্রচুর রোদ ছিল। প্রচুর গরমের মধ্যে ওই ড্রেস পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা শট দিযে গিয়েছি।”

তবে এসব কষ্ট স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করেন মুশফিক আর ফারহান। বলছিলেন, ‘সব মিলিয়ে যে পরিবেশটা আমরা ফেস করেছি সেটা রেগুলার এগুলোতে ইউসড টু না। অনেক কষ্ট হইছে। হার্ডওয়ার্ক করতে হয়েছে। কষ্টটাকে কষ্ট মনে হয়নি যখন দর্শক কাজগুলেকে দর্শক ভালোবেসেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন ফিডব্যাক পেয়েছি। এটাই বড় পাওয়া। সেই অর্থে বড় কোনো শিল্পী নয় আমি, তবু্ও সাপোর্ট পাচ্ছি।চেষ্টা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভালো কিছু কাজ দর্শকের সামনে নিয়ে আসার। ইনশাআল্লাহ সামনে কোরবানি ঈদে চেষ্টা করবো ভালো কিছু কাজ করার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *